img

পুজোর বাকি মাত্র ২৫ দিন। সুতরাং হাতে সময় অনেকটাই কম। চটজলদি মেদ ঝরাতে হবে। কিন্তু অফিসে কাজের চাপে সময় কোথায়? জিমে যাওয়ার ঝক্কি অনেক। তাহলে উপায়? উপায়ের নাম চিয়া বা সিয়া। যে নামেই ডাকুন না কেন, এর ম্যাজিক কিন্তু টের পাবেন এক সপ্তাহেই।

তা কী এই চিয়া বা সিয়া বীজ?

চিয়া বীজকে অনেকেই তিল বা তিসির সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেন। দেখতে ছোট ছোট সাদা, ধূসর, বাদামি ও কালো রঙের এই বীজ আসলে জন্মায় মেক্সিতোতে। এই চিয়া বীজ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে , প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩, প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে যা হার্টের জন্য ভালো, রয়েছে আয়রন এবং ক্যালসিয়ামও
ওজন কমাতে বা রক্তে সুগারের সমস্যায়ও খেতে পারেন চিয়া বীজ।

কোথায় পাবেন? 

যেকোনও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে পেয়ে যাবেন এই চিয়া বা অনলাইন অর্ডারও করতে পারবেন। দাম খুব একটা বেশি নয়। 

কীভাবে খাবেন এই চিয়া?

দিনের যেকোনও সময় খাওয়া যায় চিয়া। কিছুটা পরিমাণ বীজ নিয়ে প্রথমে জলের মধ্যে আধঘণ্টার মতো ভিজিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে সেটা ফুলে একটু জেলির মতো আকার নেবে। তখন সেই জল পান করতে পারেন। তবে শুধু জলে খেতে ইচ্ছা না করতে শরবত বা স্মুদির মধ্যেও চিয়া বীজ খাওয়া যায়। শুকনো চিয়া বীজও স্যালাড বা ওটসের উপর ছড়িয়েও খেতে পারেন। তবে গলায় আটকে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। তাই শরবত বা জলের মধ্যে মিশিয়ে খাওয়াই ভাল।

কীভাবে কাজ করে এই চিয়া?

চিয়া বীজ রীতিমতো খাবারের মতো। অর্থাৎ এটি খেলে পেট ভরতি থাকে। শুধু তাই নয়, সকালে উঠে ব্রেকফাস্টের সময় এটি খেলে পেট ভরতি হওয়ার কারণে অন্য খাবার খাওয়ার ইচ্ছে জাগবে না। শুধু তাই, এর মধ্যে থাকা উপকারী উপাদানগুলোও শরীরের পক্ষে ভাল। তাই অনায়েসে চিয়া বীজ যেকোনও সময়েই সঠিক আহার হয়ে উঠতে পারে।

চিয়া বীজকে নিরাপদ খাবারই বলা যায়। এর তেমন কোন সাইড এফেক্ট নেই। তবে যারা রক্ত পাতলা রাখার ওষুধ গ্রহণ করছেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি খাবেন না। আবার অতিরিক্ত আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় পরিমাণে বেশি খেলে এটি গ্যাসজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যালার্জিও দেখা দিতে পারে সেক্ষেত্রে চিয়া এড়িয়ে চলাই ভাল।

এই বিভাগের আরও খবর